ওয়ারলেস মাইক্রোফোন এর ১০টি সুবিধা

আমরা এখন বাস করছি ভিডিও কন্টেন্ট এর যুগে। সোস্যাল মিডিয়া থেকে ইলেকট্রনিক মিডিয়া সর্বত্রই ভিডিও এর জয়জয়কার। আর এই ভিডিও এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল অডিও। ভিডিও ছাড়াও আরো অনেক ক্ষেত্রে অডিও প্রধান উপাদান হিসেবে কাজ যেমন অডিওবুক, পডক্যাস্ট, অডিও ব্লগ, লাইভ কনসার্ট ইত্যাদি। 

 

একটি ভালো মানের অডিও তৈরী করার পূর্বশর্ত হলো একটি ভালো মানের মাইক্রোফোন। বাজারে দুই ধরণের মাইক্রোফোন পাওয়া যায়। ওয়ারলেস [Wireless (তার যুক্ত থাকেনা এমন)] এবং ওয়ারড [Wired (তার যুক্ত থাকে এমন)] যেটিকে আমরা সাধারণ মাইক্রোফোন হিসেবে চিনি। 

 

ওয়ারলেস মাইক্রোফোন অডিও রেকর্ডিং এবং লাইভ কনসার্টের জগতে যুগান্তকারী বিপ্লব এনে দিয়েছে। এর পেছনে রয়েছে ওয়ারলেস মাইক্রোফোনের তুলনাবিহীন কিছু সুবিধা এবং বহুমুখী ব্যবহার। যদিও কিছু কিছু জায়গায় সাধারণ মাইক্রোফোনের বিকল্প নেই। কিন্তু ওয়ারলেস মাইক্রোফোনের কিছু ইউনিক ফিচারের কারণে দিনে দিনে এটি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। 

 

এই আর্টিকেলে আমরা ওয়ারলেস মাইক্রোফোনের ১০ টি কার্যকরী ফিচার নিয়ে আলোচনা করব যেগুলো আপনি সাধারণ মাইক্রোফোনে কখনোই পাবেন না। 

 

ওয়ারলেস মাইক্রোফোন এর ১০টি সুবিধা

ওয়্যারলেস মাইক্রোফোন আজকাল অনেক জনপ্রিয়। তারের জটিলতা থেকে মুক্তি পেয়ে এটি আমাদেরকে আরও স্বাধীনভাবে পারফর্ম করার সুযোগ দেয়। আসুন জেনে নিই ওয়্যারলেস মাইক্রোফোনের ১০টি মূল সুবিধা:

Advantages Of Wireless Microphones

১. সহজে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নড়াচড়া করা যায়।

 

ওয়ারলেস মাইক্রোফোনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সুবিধা হল এটি নিয়ে সহজেই নড়াচড়া করা যায়। সাধারণ মাইক্রোফোন কখনোই এই সুবিধা দিতে পারে না। কন্টেন্ট ক্রিয়েটর, সংবাদ-কর্মী, বক্তা বা উপস্থাপক এরা ওয়ারলেস মাইক্রোফোন ব্যবহারের মাধ্যমে স্বাধীনভাবে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে পারেন। তাঁদের কাজটি আরো স্বতঃস্ফূর্ত ও সাবলীলভাবে সম্পন্ন করতে পারেন।

২. রেঞ্জ অনেক বেশি।

 

ওয়ারলেস মাইক্রোফোনে অডিও সিগন্যাল ট্রান্সমিশন রেঞ্জ অনেক বেশি পাওয়া যায়। সাধারণত এই রেঞ্জ ৩০০ ফিট বা তার বেশি হয়ে থাকে। এই ফিচারটি প্রধানত বড় কোন অনুষ্ঠানে কাজে লাগে যেখানে অডিও রিসিভার মাইক্রোফোন থেকে অনেক দূরে রাখতে হয়। 

৩. ইন্টারফেয়ারেন্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম।  

 

আধুনিক ওয়ারলেস মাইক্রোফোনের সাথে উন্নত ইন্টারফেয়ারেন্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম যুক্ত থাকে। এধরণের সিস্টেম গুলো অটোমেটিক্যালি বা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সবচেয়ে ভালো ফ্রিকোয়েন্সি চ্যানেলটি স্ক্যান করে, যাতে অন্য কোন ওয়ারলেস ডিভাইসের ইন্টারফেয়ারেন্স না ঘটে। এর ফলে পরিষ্কার এবং নিরবিচ্ছিন্ন অডিও ট্রান্সমিশন নিশ্চিত করা যায়।

 

৪. একাধিক চ্যানেলের সুবিধা।

 

ওয়ারলেস মাইক্রোফোনে সাধারণত একাধিক চ্যানেল ব্যবহারের সুবিধা দিয়ে থাকে। কারণ, যদি কোনরকম ইন্টারফেয়ারেন্স ঘটে তাহলে যেন ইউজার চ্যানেল পরিবর্তন করা যায়। এই ফিচারটি বিশেষত সেইসব জায়গায় ব্যবহার করা হয় যেখানে অনেকগুলো ওয়ারলেস ডিভাইস সক্রিয় থাকে। যেমন: কনসার্ট, কনফারেন্স, ব্রডকাস্টিং স্টুডিও ইত্যাদি। 

 

৫. বিল্ট-ইন নয়েজ কন্ট্রোল। 

 

বেশিরভাগ ওয়ারলেস মাইক্রোফোনে বিল্ট-ইন নয়েজ কন্ট্রোল ফিচার থাকে। এটির সাহায্যে ব্যাকগ্রাউন্ড নয়েজ, ফিল্টার করে ভালো কোয়ালিটির অডিও রেকর্ড করা যায়। আউটডোরে রেকর্ডিং এর জন্য এটি অনেক কার্যকরী একটি ফিচার।

 

৬. ডিজিটাল সিস্টেমে ইন্টিগ্রেশন। 

 

ওয়ারলেস মাইক্রোফোনে সাধারণত ডিজিটাল সিস্টেমে ইন্টিগ্রেশন ফিচার থাকে। যার কারণে ডিজিটাল রিসিভার এর মাধ্যমে সাউণ্ড মিক্সার, সাউন্ড বোর্ড এবং অন্যান্য রেকর্ডিং ডিভাইসের সাথে খুব সহজে কানেক্ট করা যায়। এমন ঝামেলাবিহীন ইন্টিগ্রেশন এর ফলে ডিজিটাল সিস্টেমের সাথে মাইক্রোফোন ব্যবহার এবং পরিচালনা অনেক সহজ হয়ে যায়।

 

৭. রিমোট কন্টোলের ব্যবহার।

 

ওয়ারলেস মাইক্রোফোন সাধারণত রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে ব্যবহার করা যায়। এতে করে দূর থেকে সাউন্ড ভলিউম, মিউট, ফ্রিকোয়েন্সি চ্যানেল ইত্যাদি সেটিংস নিয়ন্ত্রন করা যায়। এই ফিচারটি সাউণ্ড ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য অনেক কার্যকরী। বিশেষ করে যারা রেকর্ডিং সেশনে রিয়েল-টাইম এ্যাডজাস্টমেন্ট করার ক্ষেত্রে এটি ব্যবহৃত হয়।

 

৮. রিচার্জেবল ব্যাটারি। 

 

সাধারণ মাইক্রোফোন যেখানে ফ্যান্টম বা এক্সটার্নাল পাওয়ায় এর উপর নির্ভরশীল সেখানে ওয়ারলেস মাইক্রোফোনে থাকে রিচার্জেবল ব্যাটারি। ব্যাটারিগুলো বেশ কয়েক ঘন্টা চলতে পারে। ফলে নিরবিচ্ছিন্ন অডিও ট্রান্সমিশন ও রেকর্ডিং করা যায়। পাওয়ার সোর্স নিয়ে তেমন একটা ভাবতে হয় না।

 

৯. সুবিধাজনক এবং হালকা ডিজাইন। 

 

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ওয়ারলেস মাইক্রোফোনের ডিজাইন হয় হালকা। এমন ভাবে ডিজাইনগুলো করা হয় যাতে দীর্ঘক্ষণ ব্যবহারে কোন অস্বস্তি তৈরী করে না।

 

১০. বহুমুখী ব্যবহার। 

 

গতানুগতিক ব্যবহারের বাইরে নানা ক্ষেত্রে ওয়ারলেস মাইক্রোফোন ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে ইদানীংকালে যেসব জায়গায় সাধারণ মাইক্রোফোন ব্যবহারের কথা ভাবাও যায় না সেসব জায়গাতেও ওয়ারলেস মাইক্রোফোনে ব্যবহার করা যায়। যেমন শরীরচর্চার প্রশিক্ষন, আউটডোরে পাবলিক মিটিং, এডভেঞ্চার ভ্লগিং ইত্যাদি। এমনকি সিনেমা প্রোডাকশনেও আজকাল ওয়ারলেস মাইক্রোফোন ব্যবহৃত হচ্ছে।

 

এই সুবিধা গুলো জানার পর আর দেরী না করে এখনি বেছে নিন আপনার পছন্দের  Wireless Micrphone আমাদের কালেকশন থেকে। 

 

উপসংহার

 

উপরের আলোচনা থেকে আমরা ওয়ারলেস মাইক্রোফোনের ১০ টি সুবিধা জানলাম যা আপনি কখনই সাধারন মাইক্রোফোনগুলোতে পাবেন না। সাধারণ মাইক্রোফোনের সঙ্গে ওয়ারলেস মাইক্রোফোন ব্যবহার এর সুবিধাগুলোর তুলনা চলে না । 

 

কারণ বর্তমানে দ্রুত সামনের দিকে এগিয়ে চলার ট্রেন্ডের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে প্রযুক্তির দিক থেকে আপ-টু-ডেট থাকার কোন বিকল্প নেই। তাই ঘুরে আসুন দেশের অন্যতম সেরা Security Products বিক্রি করা শপ Trimatrik থেকে। 

 

আশাকরি, পাঠক সুবিধা গুলো বুঝে বর্তমান সময়ে ওয়ারলেস মাইক্রোফোনের কার্যকরীতা এবং প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করতে পারবেন। যদি আরো বিস্তারিত জানতে চান কিংবা কোন মতামত আমাদেরকে জানাতে চান, তাহলে কমেন্ট করুন আমাদের পোস্টের নিচে। আপনাদের যেকোন জিজ্ঞাসা অথবা মতামত আমাদের একান্ত কাম্য। কমেন্টে উত্তরের মাধ্যমে আপনাদের জবাব দেওয়া হবে। আর লেখাটি যদি ভালোলেগে থাকে তাহলে অন্যদের সাথে শেয়ার করে সবাইকে পড়ার সুযোগ করে দিন।